বর্তমানে হৃদ রোগ বা হার্ট অ্যাটাক একটা সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ হার্টের সমস্যায় ভুগছে। প্রায়ই শোনা যায়, হার্ট অ্যাটাকের ফলে মৃত্যুর খবর। বেশিরভাগ বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। সবচেয়ে প্রচলিত কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলির মধ্যে এটি একটি। ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫৫ বা তার বেশি বয়সের নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, কম বয়সী পুরুষ ও নারীদের থেকে বেশি থাকে।
হার্ট অ্যাটাক কী?
যখন আমাদের হার্টে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। আমাদের হৃদপিণ্ডের নিজস্ব রক্তনালি থাকে। এই রক্তনালিতে চর্বি, কোলেস্টেরল জমে গেলে এর ওপর রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। ফলে, রক্তনালিগুলো পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়, রক্ত প্রবাহের পথে বাধা পায়। এর ফলে, হঠাৎ করে বুকে ব্যথা এবং সেখান থেকে পরিস্থিতি জটিল হলে মৃত্যুও হতে পারে।
একেই আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি। একে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন-ও বলা হয়। এককথায় বলা যায়, রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়।
হৃদপিণ্ডের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন প্রবাহিত না হতে পারলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক এমন গুরুতর অসুখ, যার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের কারণ : কার্ডিয়াক অবস্থার কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাক করোনারি হার্ট ডিজিজ দ্বারা সৃষ্ট হয়, রক্তনালিতে চর্বি, কোলেস্টেরল জমে রক্তনালিগুলোকে ব্লক করে দেয়।
যে যে কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে-
ক) অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অর্থাৎ অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান করলে হার্ট অ্যাটাক হয়।
খ) স্ট্রেস, বিষণ্ণতা বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে
গ) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খেলে
ঘ) উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বাড়লে,
ঙ) স্থূলতা, বয়স
চ) পারিবারিক ইতিহাসে হার্ট অ্যাটাক থাকলে, ইত্যাদি।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ :
ক) বুকে অসহ্য চাপ, অস্বস্তি বা ব্যথা
খ) বমি বমি ভাব
গ) হঠাৎ মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করা
ঘ) শ্বাসকষ্ট
ঙ) ঠান্ডা ঘাম বেরিয়ে যাওয়া
চ) বাহু, গলা, পিঠ, চোয়াল বা পাকস্থলির উপরের অংশ ব্যথা বা অস্বস্তি
ছ) শক্তি হারিয়ে ফেলা বা শারীরিক দুর্বলতা, ইত্যাদি
শেয়ারনিউজ; ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯